পোস্টগুলি

মে, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

The 102 Kaurava Children of Dhritarashtra in Mahabharata !! ধৃতরাষ্ট্রর ১০২ সন্তান !!! (Mahabharata Stories)

ছবি
মহাভারত নিয়ে, তাতে বর্ণিত নানা চরিত্র নিয়ে, এই মহাকাব্যে হওয়া ধর্ম-অধর্ম, রাজনীতি নিয়ে অনেক লেখকদের অনেক কিছু লেখা নানা সময় নানা ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। আঠারো খন্ডের মহাভারতের প্রতিটি ঘটনার সাথে বাস্তবের প্রচুর মিল। সাধারণ মানুষ নিজেদের জীবনের বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের সাদৃশ্য খুঁজে পায় এই মহাকাব্যে। যার জন্য সেই পুরাকাল থেকে আজকের বর্তমান কাল পর্যন্ত এই মহাকাব্যের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে, ভবিষ্যতেও হয়তো বাড়বে। মহাভারত মানেই কৌরব ও পাণ্ডবদের সিংহাসনের দাবিদার নিয়ে কলহ বিবাদ, হিংসা, রাজনৈতিক খেলা, বৈধ- অবৈধের জটিলতা এবং শেষে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ। এই মহাকাব্য ধৃতরাষ্ট্র ও পান্ডুর পুত্রদের। তাদের জীবনকে ঘিরেই এর বিস্তার লাভ করেছে ও সমাপ্তি ঘটেছে। মহাভারতে প্রতিটি চরিত্র স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তবে আজকের লেখাটি  এই মহাকাব্যের কোনো চরিত্র বা কোনো বিতর্কমুলক ঘটনা নিয়ে নয়। আজ লেখার বিষয় ভিন্ন। মহাভারতে পাণ্ডুর পাঁচ পুত্রকে পাণ্ডব বলা হয়। পাণ্ডুর দুই স্ত্রী কুন্তী ও মাদ্রীর বিভিন্ন দেবতাদ্বারা প্রাপ্ত পুত্রদের নাম, গুনগান, কীর্তি অজানা নয়। কিন্তু ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর যে একশত পুত্র ও একটি কন্যা ছি

UDUPI King Played The Key Role in Kurukshetra War ... ( কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে উডুপি রাজ এর অবদান) Mahabharata stories

ছবি
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ ঠিক কত বছর আগে হয়েছিলো সেই নিয়ে মতভেদ আছে। বেশ কিছু ভারতীয় গবেষকগনের মতে খ্রীস্টপূর্ব ৩১০০- ৩১০২ সালে হয়েছিলো এই মহাযুদ্ধ। আঠারো দিন ধরে চলেছিলো যুদ্ধ। কতজন এই যুদ্ধে সামিল হয়েছিলো তার হিসাব কারো জানা আছে কি? মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের বিবরণ নিয়ে লেখা আছে এগারো অক্ষৌহিণী কৌরবদের পক্ষে ও সাত অক্ষৌহিণী পাণ্ডবদের পক্ষে লড়েছিলো।এখন প্রশ্ন হলো অক্ষৌহিণী কথাটির অর্থ কি? অক্ষৌহিণী কথাটির যে মানে পাওয়া যায় সেটা হলো-- পদাতিক-অশ্ব-হস্তী-রথ এই চার বাহিনীর নাম অক্ষৌহিণী। পদাতিক   মানে যারা পায়ে হেঁটে যুদ্ধ করে, অশ্বারোহী যারা অশ্ব মানে ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধ করে, হস্তী অর্থ্যাৎ যারা হাতিতে সাওয়ার হয়ে যুদ্ধ করে এবং রথে চড়ে যারা যুদ্ধে অংশ নেয়। এইবার একটা হিসাব করা যাক,   মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পদাতিক সৈন্য ছিলো,   অশ্বারোহীতে অশ্ব ছিলো এবং এর সাথে প্রত্যেক অশ্বের ওপর একজন করে সৈন্য ছিলো, হস্তী মানে হাতী ছিলো এখানে মাথায় রাখতে হবে প্রত্যেক হাতীতে একজন করে মাহুত ও একজন যোদ্ধা ছিলো আর রথ নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন যারা সেই রথে একজন সারথি, ও একজন যোদ্ধা ছিলেন, এবং রথ টানার জন্য এ

The ignored bride of Pandavas অনাদৃতা পাণ্ডব কুলবধু ( Mahabharata Stories ) ( history and mythology stories )

ছবি
The ignored bride of Pandavas       অনাদৃতা পাণ্ডব কুলবধু     ( Mahabharata Stories ) ভারতের প্রধান দুই মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারতে এমন অনেক চরিত্র আছে যাদের নানা ধরনের গুন অবদান আত্মত্যাগ থাকা সত্ত্বেও তাদের কথা কেউ মনে রাখেনি। মনে না রাখার বিশেষ একটি কারন হলো যে এদের রচনাকারেরাও এদের নিয়ে বিশেষভাবে মাথা ঘামায়নি।  এমনই একটি নারী চরিত্র মহাভারতের " রাক্ষসী হিড়িম্বা"।  যে ছিলো জাতিতে রাক্ষস। মহাভারতে এই যে রাক্ষস নামক প্রানীদের উল্লেখ পাওয়া যায় তাদের চেহারা স্বভাবের যা বর্ণনা করেছেন ব্যাসদেব তাতে এরা ছিলো বিশালাকৃতির, কুৎসিত দেখতে বড় বড় দাঁত ও নখ, চোখ ছিলো রক্তবর্ন, স্বভাবে স্বার্থপর এবং নরমাংস ভক্ষনকারী। এরা প্রয়োজনে নানা রূপ ধারণ করা ও মায়ার সাহায্যে নানান অলৌকিক কাজ করতে পারতো।  কিন্তু পুরাণ গবেষক ও লেখকদের লেখায়, রাক্ষস বলতে যেসব ভয়ংকর প্রানীদের কথা বলা হয়েছে  তারা ঠিক সেই রকম ছিলো না। বিভিন্ন লেখায় এই রাক্ষস জাতিকে অনার্য, আদিবাসী অরণ্যচারী, শারীরিকক্ষমতাসম্পন্ন,দৃঢ় মানসিকতার জনগোষ্ঠীগুলোকে বোঝানো হয়েছে যারা স্বভাব আচার-আচরণে আর্যদের মতো ছিলোনা। এরা নদী ও অরণ্যকে কেন্দ্র

Shanta- The Neglected Character in RAMAYANA - রামায়ণের অবহেলিত চরিত্র শান্তা - ( history and mythology stories )

ছবি
মহাকাব্য রামায়ণের Elite চরিত্রগুলোর মধ্যে স্থান না পাওয়া অবহেলিত একটি চরিত্র হলো  "শান্তা"। এখন প্রশ্ন হলো, কে এই " শান্তা"? কেনোই বা তিনি রামায়ণে বর্নিত Elite চরিত্রগুলোর সমভাগীদার? সঠিক প্রশ্ন---- গুরুত্বপূর্ণ কেউ যদি না হয়ে থাকেন এই "শান্তা" তাহলে তো তাঁর পক্ষে বক্তব্য রাখার দাবি জানানো উচিৎ হবে না। কিন্তু আমার দাবি জানানোটা খুবই যুক্তিযুক্ত, তাই আমি বেছে নিলাম,  আমার আজকের বিষয় মহাকাব্য রামায়ণে বিশেষভাবে অবহেলিত চরিত্র "শান্তা" কে ‌‌    ~~~ জন্ম পরিচয়ঃ~ শান্তা হলেন রামায়ণের অযোধ্যার রাজা দশরথ ও তাঁর বড় রানী কৌশ্যলার প্রথম সন্তান। বাল্মিকী রচিত রামায়ণে এই কন্যার উল্লেখ নেই, এই ব্যাপারে বাল্মিকী একেবারে Silent। অর্থাৎ দশরথের চার পুত্র রামচন্দ্র, ভরত, লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্নের দিদি ছিলেন এই শান্তা। তাহলে দেখা যাচ্ছে দশরথের প্রথম সন্তান কোনো পুত্র নয় তিনি ছিলেন একজন কন্যা। এই কন্যার জন্মের পর দশরথ - কৌশ্যলা খুব একটা খুশি হয়নি বলেই জানা যায়। কারন বংশ ও রাজ্যের দায়িত্ব একমাত্র "পুত্রেরা" নিতে সক্ষম ( যদিও আমি এই কথার বিন্দুমাত্র সমর্থ

( Vishnu avatars and related Scientific explanation ) বিষ্ণুর দশাবতার আর তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা :- Was Dashavtar related to Science? (History and Mythology facts)

ছবি
                                             Vishnu avatars and related Scientific explanation   (বিষ্ণুর  দশাবতার আর তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ) মানুষ মাত্রই কমবেশী গল্প শুনতে বা পড়তে ভালোবাসে। আর গল্প যদি সহজ ভাষায় লেখা হয়, সেই গল্প অনেক বেশী মানুষের বোধোগম্য হয়। যেমন কঠিন কোনো Subject শিক্ষক শিক্ষিকাগন গল্পের মতো করে বুঝিয়ে দিলে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পড়াটা  Easy হয়ে যায় ঠিক তেমন হিন্দুধর্মের বেদ, উপনিষদ, শাস্ত্র, মহাকাব্যের সহজ সরল ভাষায় অনুবাদগুলো সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষভাবে গ্রহনীয়। এরকম অনেক লেখকগণ আছেন যাঁরা হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিগুলোকে খুব সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ কারন হিন্দু শাস্ত্র আমার খুবই পছন্দের বিষয়। আজ আমিও একটু চেষ্টা করবো বহু উল্লেখিত পৌরাণিক একটি কাহিনির ব্যাখ্যা করার,  দেখি কতটা সার্থক হতে পারি। আজ আমার subject হলো  " বিষ্ণুর দশাবতার "।  আমার ঠাম্মার কাছে ছোটোবেলায় এই নিয়ে গল্প শুনেছি। ভগবত পুরাণ অনুযায়ী,  পৃথিবীতে যখন পাপের পরিমান বেড়েছে, সৃষ্টির পালনকর্তা ভাগবান বিষ্ণু নিজের সৃষ্টিকে বাঁচাতে নানান রূপ ধারণ করে মর্ত্যে

রামায়ণ উত্তর রঘু বংশ..... (Stories After Ramayana)

ছবি
রামায়ণের কাহিনি সবার জানা। সূর্যবংশীয় রাজা দিলীপের পুত্র রঘু,  রঘুর পুত্র অজ আর অজের পুত্র দশরথ।  ইনি অয্যোধ্যার রাজা ছিলেন। তাঁর তিন স্ত্রী ছিলো কৌশল্যা, কৈকেয়ী ও সুমিত্রা। এই দশরথের পুত্ররা হলেন রাম, ভরত,  লক্ষ্মণ এবং শত্রুঘ্ন। দশরথ এর কিভাবে  এই চারপুত্রের প্রাপ্তি হয়েছিলো সেই কাহিনিও সকলের জানা। শোনা যায় পুত্র ছাড়াও তাঁর একটি কন্যা ছিলো যার নাম শান্তা। রামায়ণ মানেই রামচন্দ্র ও তাঁর বনবাস, লঙ্কা জয়, বনবাস শেষ করে অয্যোধ্যায় ফিরে আসা, তাঁর বীরত্বের কথা।  কিন্তু আমরা  যেখানে রামায়ণ শেষ হয় বলে জানি ( সীতার অগ্নি পরীক্ষা আর শেষে পাতালপ্রবেশ) আমার কৌতূহল সেখানেই।  এরপর কি হয়েছিলো? হতেই পারে রাম লক্ষ্মণ ভরত ও শত্রুঘ্ন তাদের পরিবার নিয়ে সুখে দুঃখে দিন কাটিয়েছিলো। আমার কৌতূহলটা হলো রাম ও তাঁর তিন ভাই এর পরিবার পরিচয় নিয়ে। মানে রামায়ণের বর্নিত রামচন্দ্র ও তাঁর তিন ভাইদের Next generation, মানে দশরথের পুত্রদের কথা তো সবাই জানি কিন্তু তাঁর নাতি নাতনি দের কথা কারো জানা আছে কি? কেউ কেউ হয়তো বলবেন--  "হ্যাঁ জানি তো, কেনো লব ও কুশ "। একদম ঠিক বলেছেন কিন্তু তারা তো রামচন্দ্র ও সীতা