ঘরশত্রূ বিভীষণ সত্যিই ঘরশত্রূ ? Why Vibhishana is known as Traitor ??? ( Ramayan short stories)
হিন্দু
মহাকাব্য রামায়ণের একজন উল্লেখযোগ্য চরিত্র হলো বিভীষণ। তিনি ছিলেন লঙ্কা রাজ রাবণের ছোটো ভাই।
সেই
পুরাকাল থেকেই বিভীষণ তাঁর নামের সাথে বয়ে বেড়াচ্ছে এক অপবাদ
" ঘর শত্রূ " যা আজও বর্তমান।
কিন্তু
কেনো আমরা বিভীষণ মানেই " ঘর শত্রূ " বলে
জানি? ঘর
শত্রূ কথাটির সোজা মানে -যে নিজের ঘর
( আপনজন, আত্মীয়
স্বজন) এর বিরুদ্ধে শত্রূতা
করে এমন একজন।
তাহলে বিভীষণও
কি এমন কিছু করেছিলেন? কতটা
"ঘর শত্রূ " ছিলেন তিনি?
আজ
রামায়ণের এই চরিত্রটি নিয়ে
কিছু লেখার ইচ্ছে হলো। বাল্মিকীর রামায়ন এবং কৃত্তিবাসী রামায়ণ থেকে বিভীষণ সম্পর্কে যা জানা যায়
সেটা হলো -----
হিন্দু
পৌরাণিক মতে, মহর্ষি পুলস্ত্যের পুত্র ছিলেন বিশ্রবাঃ। তিনি
ছিলেন একজন ব্রহ্মর্ষি। কথিত আছে দৈত্যরাজ কন্যা নিকষা ওরফে কোশনী ওরফে পুস্পতকটা ( একজনেরই নাম) ছলনা করে ঋষি বিশ্রবাকে সেবা দ্বারা মুগ্ধ করেন এর জন্য বিশ্রবা
নিকষাকে ( আমারা নিকষা নামটি ধরেই চলি) বিবাহ
করেন। এই বিশ্রবার ঔরসে
নিকষার গর্ভে বিভীষণ এর জন্ম। বিভীষণ
ছিলেন নিকষার কনিষ্ঠ পুত্র, এর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা
রাবণ ও মধ্যম ভ্রাতা
কুম্ভকর্ণ এবং বোন শূর্পনখা। কুবের ছিলেন এদের বৈমাত্রেয় ভাই ( বিশ্রবার অন্য স্ত্রীর পুত্র)।
নিকষার
প্রথম সন্তান জন্মের আগেই বিশ্রবা ভবিষ্যৎবানী করেন নিকষার সব সন্তান রাক্ষস
হবে। কারন নিকষা ছলের সাহায্য নিয়ে বিশ্রবা যখন ধ্যানমগ্ন অবস্থায় ছিলেন তখন মিলিত হয়েছিল, তাই
অসময়ে মিলিত হওয়ার কারনেই নিকষার সব সন্তান রাক্ষস
হয়ে জন্মায় পরবর্তী সময়ে। ভবিষ্যৎবানী অনুযায়ী নিকষার প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তান
( পুত্র) রাবণ ও কুম্ভকর্ণ রাক্ষস
রূপে জন্মগ্রহণ করেন। এতে নিকষা খুব কাতর হয়ে বিশ্রবাকে অনুরোধ করে তাকে একটি উত্তম পুত্র প্রদানের জন্য। নিকষার
কাতর প্রার্থনায় সন্তুষ্ট হয়ে বিশ্রবা বলেন তার কনিষ্ঠ পুত্র রাক্ষস হলেও সে হবে ধর্মানুরাগী।
এই পুত্রটিই হলেন বিভীষণ।
বিভীষণ
এর পত্নীর নাম সরমা, এক পুত্র ও
এক কন্যা ছিলো তাঁর। পুত্রের
নাম তরনীসেন ও কন্যার নাম
কলা।
রামায়ণে
বর্নিত আছে তিনি দাদা রাবণের সীতাহরনের কাজকে ঘৃণার চোখে দেখেছিলেন এবং দাদাকে বার বার request করেছিলেন
সীতাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বামী রামের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। বলাবাহুল্য
রাবণ তাতে কর্ণপাত করেননি।
এর
থেকে আমরা মোটামুটি বিভীষণ এর character বুঝতে পারি। তিনি
ছিলেন মহৎ, ধার্মিক এবং অবশ্যই চরিত্রবান পুরুষ। দাদা
রাবণ তাঁর অনুরোধ না মানায় তিনি
অধর্মের পথে না চলার সিদ্ধান্ত
নেন। মা
নিকষার পরামর্শে দাদার side না নিয়ে লঙ্কা
ত্যাগ করে রামচন্দ্রের দলে যোগ দেন। তারপরের
ঘটনা সবার জানা, রাম- রাবণের যুদ্ধ আর তাতে রামের
জিত ও রাবণ তাঁর
রাজত্ব ও প্রান দুটোই
খোয়ান।
ঠিক
এখান থেকেই একটা প্রশ্ন জাগে বিভীষণকে ঠিক যেমন ভাবে রামায়ণে বর্ননা করা হয়েছে তিনি কি আদৌও তাই?
পাঠককুল
কি বলবেন জানি না, তবে
আমার কিন্তু কিছু কথা বলার ইচ্ছে জাগছে.....
বিভীষণ
ধার্মিক, সৎ, চরিত্রবান
পুরুষ ছিলেন মানলাম, কিন্তু
নিজের দাদাকে বিপদে ফেলে সর্বোপরি নিজের দেশকে বহিঃশত্রুর হাতে তুলে দিতে সাহায্য করাটা কোনো প্রশংসনীয় কাজ নয়, তা সে যেই
কারনই হোক না কেনো, প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাম কিন্তু বহিরাগতই ছিলো লঙ্কার জন্য।
তাহলে
কি কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজ করেছিলেন
তিনি? শুধুই
অধর্মকে support করবেন না বলেই কি
দাদার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন? না
কি অন্য কারণ ছিলো এর পেছনে?
তিনি
দাদাকে বুঝিয়েছিলেন যে অপকর্মটি দাদা
রাবণ করেছেন সেটা ঠিক নয়, ভাই
হিসাবে নিজের কর্তব্য পালন করেছেন তিনি এতে কোনো সন্দেহ নেই, হ্যাঁ দাদা
মানেনি তার মানে এই নয় যে
তিনি এত বড় একটা
পদক্ষেপ নেবেন?
তিনি
নিজের মতমতো নিজের
ধর্ম নিজের সংসার স্ত্রী পুত্র কন্যাকে নিয়ে থেকে যেতেই পারতেন লঙ্কায়। কে
আটকাচ্ছিল? কিন্তু
তিনি তো সেটা করলেন
না... কেনো???
তার
মানে কি ধার্মিক রাক্ষসকুলে
জন্ম রাবণের উত্তরসূরী বিভীষণ
এর ক্ষমতায় আসার ইচ্ছে জেগেছিল? লঙ্কার সিংহাসন তাকে আকর্ষন করেছিলো? মনে
তো হয় করেছিলো,
তাই তিনি অনেক দুর ভেবেছিলেন....
পুরুষোত্তম
রামচন্দ্রের দলে ঢুকে তাঁর কাছে নিজেকে ভালো প্রতিপন্ন করতে পারলে আখেরে লাভ তাঁরই হবে। কারন বিভীষণ বুঝতে পেরেছিলেন অমন পরাক্রমশালী ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত দাদাকে সরিয়ে লঙ্কার সিংহাসনে বসা তাঁর মতো রণকৌশল অজ্ঞ একজনের পক্ষে সহজ হবেনা ( রামায়ণে কিন্তু কোথাও বিভীষণকে সশস্ত্র যুদ্ধ করতে দেখা যায় না)। তাই
কি তিনি রামের দলে যোগ দিয়ে লঙ্কার সব গোপন তথ্য
ফাঁস করে ( যেমনঃ লঙ্কার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাবণের
শক্তি এইসব কিছুই রামকে জানিয়ে দেন) রাবণকে পরাজিত করার রাস্তাটা সহজ করে দিয়েছিলেন?
তিনি
নিশ্চয়ই রামকে convince করিয়েছিলেন যে দাদা রাবণের
কাজে তাঁর মোটেই সমর্থন নেই। প্রতিশ্রুতি হিসাবে নিজের দাদার ও দেশের সব
গোপনীয় কথা বাইরের লোককে দিয়ে দিলো। নিজের
ভাইপো ইন্দ্রজিতকেও ছেড়ে দেননি তিনি। নিকুম্ভিলা
যজ্ঞাগারের গোপন জায়গাটি যেখানে ইন্দ্রজিত যজ্ঞ করছিলেন আর সেই জায়গা
বাইরের লোকের জানার কথাই না, সেই
গোপন জায়গাটি লক্ষ্মণকে চিনিয়ে নিয়ে যান এবং ইন্দ্রজিতকে হত্যায় সাহায্য করেন।
ভাগ্যদেবী
সেই সময় সত্যিই বিভীষণ এর পক্ষেই ছিলো।
রামচন্দ্র বিভীষণ ও আরও অনেকের
সহায়তায় যুদ্ধে রাবণকে পরাজিত ও নিহত করেন, রামের
হাতে রাবণপুত্র ইন্দ্রজিত এবং লঙ্কার অনেক বীর মহারথীরা প্রানের আহুতি দেন।
এই
যুদ্ধের ফলাফলে কে সব থেকে
বেশী লাভবান হয়েছিলো সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। রাবণ পুত্রসহ নিহত হওয়ায় সেই মূহুর্তে লঙ্কার সিংহাসনের দাবিদার শুধুমাত্র বিভীষণই |
এতকিছুর
পরেও কি এটা মনে
হওয়া খুব অনুচিত হবে যে রাজ্য, সিংহাসন,
ক্ষমতার হাতছানি
ধার্মিক বিভীষণ কে বেশ ভালোই নাড়া
দিয়েছিলো। যদি সত্যি এইসব কিছু না হয়ে থাকে
তাহলে কেনো তিনি পরবর্তীতে লঙ্কার সিংহাসনে বসেন? তিনি
সিংহাসন ত্যাগ করতেই পারতো, তাঁর
মতো ধার্মিক ন্যায়বিচার জ্ঞানসম্পন্ন মানুষের কাছে এটাই তো প্রত্যাশা। হ্যাঁ
প্রশ্ন উঠতেই পারে সেই সময় তাহলে কে বসতো রাজ
সিংহাসনে? উত্তর
তো খুব সহজ, কেনো
বিভীষণ পুত্র তরনীসেন তো ছিলো...
কিন্তু
তিনি সিংহাসনে বসলেন এবং মন্দোদরীকে বিবাহও করেছিলেন , নিজের
স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও। যদিও সেটা রাজনৈতিক কারনে করতে হয়েছিলো কারন সেই যুগে কোনো রাজা সিংহাসনের অধিকারে থাকা অবস্থায় মারা গেলে তার জায়গায় যে সিংহাসনে বসবে
তাকে নিহত রাজার পাটরানীকে বিবাহ করতে হবে। এই সবই নিশ্চয়ই
বিভীষণ জানতেন, তবুও
তিনি সিংহাসনে বসেন এবং পুরাণ কাহিনীতে আছে জ্যেষ্ঠভ্রাতা রাবণের মৃত্যুর পর থেকে যুধিষ্ঠিরের
রাজত্বকাল পর্যন্ত তিনি লঙ্কা শাসন করেছিলেন।
কি
বোঝা যায় এর থেকে, যা যা করেছেন
বিভীষণ সবটাই তাঁর Master Mind এর
Plan নয় কি?
নিজের
কার্যসিদ্ধির জন্য নিজের আপনজনদের use করা, তাদের
শক্তিগুলোকে দূর্বলতায় পরিনত করার লোকের অভাব পৌরাণিক যুগেও ছিলো না আধুনিক যুগেও
নেই। উদাহরণের কমতি নেই।
হয়তো
তাই এখনও কেউ নিজের কাছের মানুষের সাথে বেইমানি করলে তাকে " ঘর শত্রু বিভীষণ
" বলা হয়। আর এটা প্রমাণিত
যে কোনো একজন ঘর শত্রু ছাড়া
কোনো যুদ্ধই জেতা সম্ভব না, তা সে সত্যযুগ
থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত যতো যুদ্ধ হয়েছে সেটা মোঘল আমলের যুদ্ধ হোক বা পলাশীর যুদ্ধ বা
বর্তমান যুগের রাজনৈতিক যুদ্ধ, ভোট যুদ্ধ বা পারিবারিক যুদ্ধ
--- কোনো একজন বিভীষণ ছাড়া জেতা সম্ভব না।
এই
বিভীষণ প্রথা সমাজের
প্রতিটি স্তরে স্বমহিমায় আজও
বিরাজমান।
তথ্যসূত্রঃ
বাল্মিকী রামায়ণ ও কৃত্তিবাসী রামায়ণ।
উইকিপিডিয়া।
Vibhishan is a notable character in the Hindu epic
Ramayana. He was the younger brother of
Lanka Raj Ravana.
From time immemorial,
a slanderous "Traitor" has been associated with his name, which is
still present today.
But why do we consider
Vibhishan as “Traitor"? So did
Vibhishan do something like that? How
much of a "Traitor" was he?
Today I wanted to
write something about this character of Ramayana. What is known about him from Balmiki's Ramayana and Krittivasi Ramayana
is -----
According to Hindu
mythology, Maharshi Pulastya's son was Vishrabha. He was a Brahmharishi (sage). It is said that the demon king's daughter
Niksha alias Koshni alias Puspakata (same person) was deceived and the sage
fascinated Vishrabha by her service so he married Niksha (we will continue with
the name Niksha). Vibhishan was born in
the womb of Niksha in this world.
Vibhishan was the youngest son of Niksha, his eldest brother Ravana and
middle brother Kumbhakarna and sister Shurpanakha. Kuber was their half-brother (the son of
another wife in the Vishrabha).
Before Niksha's first
child was born, Vishrabha predicted that all Niksha's children would be
demons. Because Niksha met Vishrabha when he was meditating
with the help of deception, so all the children of Niksha were born as demons
at a later time due to their untimely meeting.
According to prophecy, the first and second children of Niksha, Ravana
and Kumbhakarna were born as demons.
Niksha was very upset and asked Vishrabha to give him a good son. Satisfied with Niksha's prayer, Vishrabha
said that even if his youngest son is a demon, but he will be religious. This son is Vibhishan.
Vibhishan's wife was
named Sarma, he had a son and a daughter.
The son's name is Tarnisen and the daughter's name is Kala.
According to the
Ramayana, He hated Ravana's “Sitaharan” and repeatedly requested Ravana to
return Sita to her husband Rama with due dignity. Needless to say, Ravana did not listen to
him.
From this we can
understand the character of Vibhishan.
He was a noble, pious and of course a man of character. Ravana disobeyed his request and decided not
to follow the path of iniquity. On the
advice of his mother Niksha, he left Lanka and joined Ramchandra's side. What happened after that is known to all, the
battle of Rama-Ravana and in it Rama's victory and Ravana lost both his kingdom
and his life.
This arises the
question, is Vibhishan exactly as described in the Ramayana?
I don't know what the
readers will say, but I want to say something.....
I agree that he was a
very pious, honest, charismatic man, but it is not a good thing to put his elder
brother in danger and, above all, to help, hand over his country to an external
enemy, whatever the reason, Ram was an outsider for Lanka.
So did he do this for
any purpose? Did he betray his elder
brother just by not supporting iniquity?
Or was there another reason behind it?
He explained to Ravana
that it is not right that Ravana did the wrong deed, he has done his duty as a
brother, there is no doubt about it, yes Ravana did not obey, does not mean
that he will take such a big step?
He could have stayed
in Lanka with his wife, son and daughter with his own path. Who was stopping? But he didn't do that ... why???
Does this mean that
Ravana's successor Vibhishan, born in a pious demonic school, wanted to come to
power? Did the throne of Lanka attract
him? I think it did, and so he thought
too far....
If he can join the side
of Purushottam Ramchandra and prove himself good to him, he will get the
benefit in the end. Because Vibhishan
realized that it would not be easy for an ignorant person like him to remove
the mighty Brother and sit on the throne of Lanka (anywhere in the Ramayana is
Vibhishan seen to fight armed??). So did
he join Rama's party and leak all the secrets of Lanka (e.g. Lanka's defense
system, Ravana's power lets Rama know all this) and pave the way for Ravana's
defeat?
He must have
convinced Rama that he had no support for Ravana's work. As a promise, he gave all the secrets of his Ravana
and the country to outsiders. He did not
leave his nephew Indrajith either. The
secret place of the Nikumvila shrine where Indrajith was performing the Yajna
and the place was not known to outsiders, took the secret place to Lakshmana
and helped him kill Indrajith.
The goddess of
fortune was really in favor of Vibhishan at that time. Ramachandra defeated and killed Ravana in
battle with the help of Vibhishan and many others, at the hands of Rama and
Laxman Ravana's son Indrajit and many
heroic heroes of Lanka sacrificed their lives.
It is easy to say who
benefited the most from the outcome of this war. As Ravana was killed along with his son, the
claimant to the throne of Lanka at that moment was only Vibhisana.
Even after all this,
would it be unreasonable to think that the power, the throne, had shaken the mind of religious Vibhishana? He could have left the throne,
this is the expectation of a man of religious justice like him. Yes, the question may arise, then who would
sit on the royal throne? The answer is
very simple, there was Vibhasana’s son Tarnisen ...
If all this did not happen then why did he sit on the throne of Lanka
later?
But he ascended the
throne and also married Mandodari, despite having his own wife. However, it had to be done for political
reasons because in those days, if a king died while in possession of the
throne, he would have to marry the queen of the slain king who would sit on the
throne in his place. Vibhishana must
have known all this, yet he ascended the throne and the Puranic story is that
he ruled Lanka from the death of his elder brother Ravana to the reign of
Yudhisthira.
What does it mean
that everything he has done is not his Master Mind's plan?
There is no shortage
of people in the mythological age to use their relatives for their own success,
to turn their strengths into weakness.
There is no shortage of examples.
Maybe that's why if
someone is still unfaithful to the people close to him, he is called "home
enemy Vibhishana" (Traitor Vibhisana)
". And it has been
proven that no war can be won without an enemy at home, whether it is the
battle of the Mughal period or the battle of Palashi or the Political battle of
the present age, or the civil war. It is not possible to win without it.
This horrible
practice still exists in every level of society in its glory.
References: Balmiki
Ramayana and Krittivasi Ramayana.
and Wikipedia.
copyright : Rakasree Banerjee
Hmmm...nice
উত্তরমুছুনGood Work .. 👍
উত্তরমুছুন