রামায়ণে বর্নিত পার্শ্বচরিত্রের প্রানীসমূহ আসলে কি ছিলো??? Relevancy of the non-human characters in RAMAYANA ....



রামায়ণ - মহাভারত পুরোটা এক জীবনে পড়ে, বোঝা প্রায় অসম্ভব। এই উক্তির কারন, মহাকাব্য দুটো নিয়ে নড়াচড়া করতে বসলেই দেখি প্রতিবারই কিছুনা কিছু ভাবনা তৈরী হচ্ছে।
হিন্দুদের প্রধান দুটি মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারত। যদিও রামায়ণের ও মহাভারতের বেশকিছু পার্থক্য আছে।  মহাভারতের প্রেক্ষাপট ও চরিত্রগুলো বিশাল, জাঁকজমকপূর্ণ। সেই তুলনায় রামায়ণ অনেকটাই আটপৌরে। কিন্তু হিন্দুদের এই পবিত্র মহাকাব্যের কাহিনী ভারতবর্ষের সাথে সাথে, এশিয়া ও পূর্ব প্রাচ্যের দেশগুলোতে ছড়িয়ে আছে।
রামায়ণের কাহিনী অজানা নেই কারো। এই কাহিনী বিস্তার লাভ করেছে ভারতবর্ষের এক বিখ্যাত রাজ্যের বিখ্যাত রাজবংশের সদস্যদের ঘিরে, তাদের জন্ম - মৃত্যু, সুখ- দুঃখ,  বিবাহ - বিচ্ছেদ, জীবনের উত্থান-পতন, আদর্শের মধ্যে দিয়ে। এই মহাকাব্যের নায়ক রামচন্দ্র এবং তাঁর বীরগাথায় মুগ্ধ আপামর ভারতবাসী।

তবে আজ আমার লেখার বিষয় রামচন্দ্র বা অযোধ্যা রাজপরিবারের কোনো সদস্য নয়, আজ রামায়ণের বানর চরিত্র যারা আছে তাদের নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করবো।

রামায়ণ পড়তে গিয়ে দেখা যায়, রামচন্দ্রের চোদ্দো বছর বনবাস পর্বে রাম, সীতা ও লক্ষ্মণ ছাড়া আর কাউকেই মানুষ হিসেবে পাইনা। এই পর্বে যাদের সাথে পরিচয় হয় তারা সবাই রাক্ষস, বানর ইত্যাদি।
এই মহাকাব্যে লঙ্কারাজ রাবণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রাক্ষস বলে উল্লেখ আছে। রাবণকে রাক্ষস গোষ্ঠীর রাজা বলা হয়েছে। তাঁর পরিবারের  লোকজন, তাঁর রাজ্যের সৈন্য সামন্ত,প্রজা সবাই রাক্ষস। মানে লঙ্কার অধিবাসীরা ছিলো রাক্ষস। কিন্তু এই মহাকাব্যগুলোতে রাক্ষস রূপে যাদের কথা বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে তেমন কোনো প্রানী ছিলোই না। বহু পুরাণ গবেষকরা তাঁদের বিভিন্ন লেখায় "রাক্ষস" বলতে যাদের কথা শাস্ত্র, মহাকাব্যগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে তারা আসলে কি সেই সম্পর্কে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য মতামত দিয়েছেন এবং তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রমাণিত। ভারতবর্ষের আদি বাসিন্দা যারা ছিলো তাদেরকেই বহিরাগত আর্যগণ রাক্ষস, দানব নামে আখ্যায়িত করেছে। যারা আর্যজাতির মানুষ না, ভারতের সেই সব আদিবাসী গোষ্ঠীকে "সুসভ্য" আর্যগণ অনার্য, রাক্ষস, দানব ইত্যাদি নাম দিয়েছিলো।
[ আমার পুরনো লেখাগুলোর মধ্যে " অনাদৃতা পাণ্ডব কুলবধু" ও "অপরিচিত রাবণ" (https://historywithmythology.blogspot.com/2020/06/unknown-ravana-ramayana-stories.html)  (https://historywithmythology.blogspot.com/2020/05/the-ignored-bride-of-pandavas.html)
এই লেখাদুটোতে রাক্ষস বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে সেই সম্পর্কে লিখেছিলাম ]। রাক্ষস বলতে যেসব ভয়ংকর চেহারার প্রাণীদের কথা রামায়ণে লেখা আছে তেমন কোনো প্রানী আসলে ছিলোই না। ঠিক যেমন, রামায়ণের বালী,সুগ্রীব, অঙ্গদ এরা আসলে বানর ছিলো না।
এইটুকু পড়ে কেউ কেউ প্রশ্ন করতেই পারেন, তাহলে এরা কি ছিলো, মানুষ??? সেটা একটু বিশদভাবে বললেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে আশা করি।
কিন্তু সেই আলোচনায় যাওয়ার আগে , রামায়ণের যুদ্ধকাণ্ডের একটি দৃশ্যে চোখ রাখা যাক....
যুদ্ধকাণ্ডের ৪নং উপাখ্যানে বর্ণিত আছে -----

"সমুদ্রের উপর সীমান্ত রেখার ন্যায় শোভমান এই সেতুপথে সহস্র কোটি বানর লাফাতে লাফাতে সগর্জনে পার হতে লাগলো।"







এই বানরেরা সত্যি বানর না মানুষ সেই সবকিছু বাদ দিয়ে আগে বানরের সংখ্যাটা দেখে নেওয়া যাক,  কত বানর? সহস্র কোটি বানর!! এর অর্থ হাজার কোটি। ভাবা যায় হাজার কোটি বানর???  এই সংখ্যাটা মোটেই হেলাফেলার নয়।এত সংখ্যক বানর লঙ্কার মতো একটি ছোটো দ্বীপে ধরলো কিভাবে??
আসলে এই মহাকাব্যগুলো বিভিন্ন লেখকের দ্বারা বিভিন্ন ভাষায় এত অনুবাদ হয়েছে যে এইসব ভুল-ভ্রান্তির সম্ভাবনাও বেড়েছে। সেতু পার হয়ে লঙ্কায় যাওয়া প্রাণীগুলো কোনো বানর ছিলো না আর তাদের সংখ্যাটাও এত বিপুল পরিমাণ ছিলো না।

রামায়ণের সব কাণ্ডগুলো বাদ দিয়ে শুধু কিষ্কিন্ধা কাণ্ডের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে, বানর বলে যাদের উল্লেখিত করা হয়েছে সেই বালী, সুগ্রীব, অঙ্গদ, হনুমান এঁদের জীবনযাত্রা, স্বভাব -চরিত্র আমাদের মনে অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়।
কারন রামায়ণ অনুযায়ী, কিষ্কিন্ধ্যা রাজ্যের রাজা বালী, তার ভাই সুগ্রীব, পুত্র অঙ্গদ, হনুমান এঁরা সবাই লম্বা লেজযুক্ত বানর।   রামানন্দ সাগরের বিখ্যাত টিভি সিরিয়াল রামায়ণেও সেই একই রূপে এদেরকে দেখানো হয়েছে এবং বিভিন্ন লেখায়, নাটকে, রামলীলাতেও এই দেখে আমরা অভ্যস্ত।  কিন্তু এই মহাকাব্যে বর্নিত সমস্ত বানরদের সম্পর্কে পড়লে মনেই হবেনা তারা প্রকৃত বানর প্রজাতির লম্বা লেজওয়ালা প্রাণী ছিলো। যেমন বালী ও সুগ্রীব ছিলো কিষ্কিন্ধ্যা রাজ্যের রাজা, তাদের রাজ্য ছিলো, তারা মানুষের মতো কথা বলতো, তাদের স্ত্রী  সন্তান নিয়ে পরিবার ছিলো , তারা বড় বড় প্রাসাদে বাস করতো।
ব্যাপারটা কেমন সন্দেহজনক নয় কি? সত্যি যদি এরা সবাই বানর প্রজাতির হতো তাহলে এদের জীবনযাপন এমন হতো কি? কোনো বানরকে কেউ মানুষের মতো কথা বলতে দেখছে বা প্রাসাদ না হোক অন্ততপক্ষে  সাধারণ একটা বাড়ি বানিয়ে থাকতে দেখেছে এমন তথ্য আছে কি?
আবার এটা ভেবে নেওয়ারও প্রয়োজন নেই যে সেই যুগের বানরেরা মানুষের মতো কথা বলার জন্য কোনো অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলো। পুরাণ কাহিনীগুলোর অলৌকিক ঘটনাসমুহের বিস্তারিত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রমাণিত।


তাহলে কি ছিলো আসল ঘটনা???
এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে সেই প্রাচীন যুগে। যখন গুহাবাসী মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে উঠলো। সেই সময় সমাজে বসবাসকারী এক গোষ্ঠীর মানুষের থেকে অন্য গোষ্ঠীর মানুষকে আলাদা করার জন্য "টোটেম" প্রথার প্রচলন হয়।

এখন প্রশ্ন হলো টোটেম কি?

টোটেম সম্পর্কে বলার আগে "গোত্র" নিয়ে কিছু কথা না বললে চলবে না। গোত্র ব্যাপারটা মোটামুটি আমরা সবাই জানি। নিজের গোত্র সবারই জানা আছে।কেউ ভরদ্বাজ গোত্র কেউ কাশ্যপ গোত্র কেউবা শাণ্ডিল্য গোত্র। এই গোত্র হলো মানুষের আদি ইতিহাসের ও নৃতাত্ত্বিক বিবর্তনের মহা মুল্যবান তথ্য। গোত্রগুলো এক একজন ঋষির নামে এবং এক এক গোত্রের মানুষেরা নিজেদের সেই প্রাচীন ঋষিদের বংশধর বলে মনে করে। সব গোত্রধারীদের মধ্যে কিছু বিধিনিষেধ বর্তমান। যেমন পেশা বা খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে। এমনকি একই গোত্রে বিয়ে নিষিদ্ধ। প্রথম ঋকবেদে গোত্র প্রথার উল্লেখ পাওয়া যায়। গোত্র বলতে একটি মানবগোষ্ঠীকে  বোঝানো হয়েছে। প্রত্যেক গোত্রের স্থাপন করেছিলেন এক একজন ঋষি।

কিন্তু গোত্রের উৎপত্তি সম্পর্কে হিন্দুধর্মের এই যুক্তি গ্রহনযোগ্য কি? সমাজবিজ্ঞানীরা কিন্তু এই যুক্তি অস্বীকার করেন। এইসব বিজ্ঞানীরা এই যুক্তির বদলে টোটেম থিওরি নিয়ে এসেছেন।
দেখা যাক কি সেটা...

টোটেম বলতে বোঝায় কুলচিহ্ন। নৃতত্ত্ববিদরা মনে করেন সমগ্র পৃথিবীর মানবগোষ্ঠীকে বিবর্তন ধারার অনেকগুলো স্তর পার করে আসতে হয়েছে। টোটেম হলো সব মানবগোষ্ঠীর নিজের নিজের গোষ্ঠী বা কুলের চিহ্ন। প্রত্যেক  গোষ্ঠীগুলোর নামকরণ করা হতো বিভিন্ন গাছ,পশু,পাখি,মাছ ইত্যাদির নামে এবং যা এখনো আমাদের সমাজে বিদ্যমান। (যেমনঃ কারো কারো পদবী সিংহ, নাগ,হাতি  এবং এরা যে সত্যিই সিংহ,হাতি  বা সাপ নয় সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা)। এই টোটেমবাদ অনুযায়ী প্রত্যেক গোষ্ঠীর কুল চিহ্ন বা টোটেম আলাদা এবং কুল দেবতা, পুজা, আচার-নিয়ম ভিন্ন।
 উনিশ শতকে উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের মধ্যে টোটেম প্রথার সন্ধান পাওয়া যায়। উত্তর আমেরিকার আদিবাসী গোষ্ঠী ওজিবওয়া  ও আলঙ্গোকুয়ান( Algonquian ) আদিবাসী ভাষায় একে বলে 'ওটোটেমান'। টোটেম শব্দটি এখান থেকেই এসেছে। নৃতত্ত্ববিদ মর্গান পুরো নাম হেনরী লুই মর্গান, আমেরিকার আদিবাসীদের জীবন নিয়ে গবেষণা চালিয়ে সেখানকার আদিবাসী সমাজে টোটেমবাদের প্রচলন দেখতে পান। কোনো গোষ্ঠীর মানুষ বিশ্বাস করে তাদের পূর্বপুরুষ ছিলো কচ্ছপ এবং তারা সবাই সেই কচ্ছপের বংশধর।

এই যে এক একটা গোষ্ঠী তাদের পূর্বপুরুষ বোঝাতেএকটা প্রানী বা উদ্ভিদের নাম যুক্ত করেছে, নৃতত্ত্ববিদরা একেই টোটেম নাম দিয়েছেন।
ভারত ও বাংলাদেশের আদিবাসীদের মধ্যে টোটেমবাদ ছিলো, যা এখনও প্রচলিত আছে। বাংলাদেশের সাঁওতালরা এখনও  টোটেমবাদের ধারা অব্যাহত রেখেছে। গাছ, জীব-জন্তুর নামে এরা পরিচিত। যেমন, সাঁওতালদের পদবী হাঁসদা হাঁস থেকে, হেমব্রম  সুপারি থেকে, মুর্মু নীল গাই থেকে এসেছে।

বিভিন্ন গবেষণার মধ্যে দিয়ে জানা যায়, রামায়ণের যুগে ভারতের দক্ষিণী জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে টোটেম প্রথার চল ছিলো। বানর, ভালুক ইত্যাদি টোটেমী জাতির বসবাস ছিলো। বিন্ধ্যপর্বতের দক্ষিণে বনভূমি অঞ্চলে বাস করতো এরা।সেই সময় নানান পশুর নামে পাখির নামে জাতিগোষ্ঠী পরিচিতি পেতো।যেমন ঋক্ষ ( ভালুক টোটেম) রামায়ণের জাম্বুবান ছিলো এই ভালুক টোটেম জাতিগোষ্ঠীর মানুষ,  নাগ ( সাপ টোটেম), বানর, কুকুর, মহিষ এইগুলো ছিলো বেশ পরিচিত টোটেম। আর্য ও অনার্য দুই জাতির মধ্যেই ছিলো এই টোটেমবাদ। মাছ ও কুকুর টোটেমকে আর্যরা বিশেষ মান্য করতো। ঋকবেদে নানা ধরনের লতাপাতা, গাছ নিয়ে যে স্তোত্রগুলো আছে সেগুলো সবই টোটেমের আদি উৎস।
বৈদিক ঋষিগণের অনেকের নাম প্রানীদের নামে বিখ্যাত হয়ে আছে,  যা টোটেমবাদের প্রমাণ। পরবর্তী সময়ে এই টোটেমিক উৎস গুলো চাপা পড়ে যায়।
ভরদ্বাজ  শব্দটির অর্থ বাজপাখি , ঠিক তেমনি কাশ্যপ মানে কচ্ছপ , গৌতম মানে গরু ,  শুনক মানে কুকুর,  মৌদ্গল্য মানে মাগুর মাছ,  কৌশিক প্যাঁচা থেকে, শাণ্ডিল্য ষাঁড় থেকে এসেছে। গোত্র সম্পর্কিত সবগুলো শব্দের অর্থ কিন্তু  কোনো না কোনো পশুপাখি বা গাছপালা। অর্থাৎ আজকে যারা শাণ্ডিল্য গোত্রের মানুষ বহু যুগ আগে তাদের টোটেম ছিলো ষাঁড়। এখানে কোনো ঋষিমুনির গল্প নেই।
বৈদিক আর্য পুরাণ রচনাকারেরা অনার্য জাতিগোষ্ঠীর ওপর টোটেম অনুযায়ী জ্যান্ত পশু বা পাখির অববয় বসিয়ে দিয়েছে, যার প্রভাব বেশী করে পরেছে রামায়ণ ও মহাভারতে।
রামায়ণের বালী, সুগ্রীবকে আমরা যেমন আস্ত বানররূপেই দেখে অভ্যস্ত। আসলে এরা ছিলো বানর টোটেম জাতি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত মানুষ । এই বানর জাতি ছিলো দক্ষিণ ভারতের অধিবাসী। যাদের রাজ্য ছিলো সমৃদ্ধশালী কিষ্কিন্ধ্যা, বালী, সুগ্রীব এরা ছিলো এই রাজ্যের রাজা। কিষ্কিন্ধ্যা রাজ্যের শিল্প সংস্কৃতি দেখে লক্ষ্মণও নাকি অবাক হয়েছিলো। বিন্ধ্যপর্বতের দক্ষিণ অঞ্চলে বানর টোটেম ভুক্ত বালী,সুগ্রীব, অঙ্গদ,হনুমানদের মতো বীরপুরুষেরা বাস করতো।





বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, নিজেদের টোটেম হিসাবে বানর জাতির লোকেরা পোশাকের সঙ্গে লেজ ব্যবহার করতো ( তথ্যসূত্রঃ India in Ramayana Age by Dr. S.N. Vyas)। দক্ষিণ ভারতের বানর টোটেম ভুক্তরাই শুধু নয়, মিশরের ফ্যারাও ও পুরোহিত সম্প্রদায়ের লোকেরাও লেজ লাগানো পোশাক পরতো ( তথ্যসূত্রঃ Egyptian Mythology by Veronica Ions)।
আদিম জনগোষ্ঠী গুলোর মধ্যে টোটেম অনুযায়ী পোশাক পরার রীতি ছিলো বা বলা ভালো নিজেদের টোটেম অনুসারে নিজেদের সাজাতে পছন্দ করতো। ঠিক যেমন রামায়ণের আমরা লেজযুক্ত হনুমান, বালী, সুগ্রীবকে দেখি। এদের সত্যি বানর প্রজাতির ভাবা ভুল।এরা ছিলো টোটেম প্রথার বানর জাতিগোষ্ঠীর এবং বালী ও সুগ্রীব ছিলো টোটেম প্রথার বানর গোষ্ঠীর রাজা।
প্রাচীনকালে ভারতের কোনো কোনো রাজ পরিবারে রাজ অভিষেকের সময় লেজ বিশিষ্ট পোশাক পরা আবশ্যিক ছিলো। এর থেকে বোঝা যায় এরা বানর টোটেম ভুক্ত মানুষ।
রামায়ণের বালী, সুগ্রীব, হনুমানদের মতো বীরেরা কোনো লেজওয়ালা বানর ছিলো না, তারা লেজ লাগানো পোশাক পরতো।

মানব বিবর্তনের ধারায় প্রথম দিকে গোষ্ঠী ভাগের সময় এই টোটেম ছিলো বিশেষ প্রয়োজনীয়, যার চিহ্ন, ব্যবহার আজও রয়ে গেছে বহু আদিবাসী সমাজে। বানর তেমনই এক গোষ্ঠী।
রামায়ণে বর্নিত বানর বলতে যাদের বোঝানো হয়েছে তারা কেউ প্রকৃত অর্থে বানর ছিলো না। এরা সবাই  ছিলো মানুষ, বানর টোটেমের অন্তর্ভুক্ত।









তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট
কপিরাইট :  Rakasree Banerjee

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in comment box

you may like

Nepotism Is as old as Mahabharata !! মহাভারতও "Nepotism" দোষে দুষ্ট ( Mahabharata Stories )

পিতৃপক্ষ ও কিছু কথা