অপরিচিত রাবণ / The Unknown Ravana ( RAMAYANA STORIES)




হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ রামায়ণ। এই মহাকাব্যে ধার্মিক দিকের সাথে সাথে সামাজিক দিকেরও উল্লেখ আছে।


এই ধর্মগ্রন্থের নায়ক ও খলনায়ক হলেন যথাক্রমে রাম ও রাবণ। খলনায়ক রাবণের নানা দোষ কুকর্ম সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যায়। কিন্তু এই খল চরিত্রটি যে অনেক ভালো গুণের অধিকারী ছিলেন সেই সম্পর্কে কতটা জানা আছে সবার?

রামায়ণের এই "খলনায়ক"
রাবণ ছিলেন অত্যন্ত জ্ঞানী এবং প্রজাবৎসল একজন রাজা। সীতাহরণের মতো গর্হিত অপরাধের দোষে দুষ্ট ছিলেন তিনি,  কিন্তু সীতাকে অপহরণ করা ছাড়া  রামায়ণের আর কোথাও রাবণ  নারীদের অসন্মান করেছেন এমন উল্লেখ পাওয়া যায় না। এমনকি তিনি সীতার সাথে ঠিক কতটা খারাপ ব্যবহার করেছিলেন বা আদৌও করেছিলেন কিনা সেই নিয়েও নানা মুনির নানা মত আছে। হ্যাঁ, একথা ঠিক তিনি সীতার হরনকারী, তিনি দোষী। হয়তো এই অপরাধের জন্যই তাঁর স্বর্ণলঙ্কা শেষ হয়ে যায় কিন্তু এইরকম একটা নিন্দনীয় কাজ তিনি করেছিলেন জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার দায়িত্ব পালনের জন্য। বোন শূর্পনখাকে রামচন্দ্র ও তাঁর ভাই লক্ষ্মণ যে অপমান করেছিলো সেই অপমানের জবাব দিতেই তিনি রামচন্দ্রের স্ত্রী সীতাকে হরন করেন। অপমান বললাম কারন রামায়ণ অনুযায়ী, শূর্পনখা সুপুরুষ  রামকে দেখে বিবাহ করতে চেয়েছিলো, রাম তাকে বিবাহ করতে অসম্মতি জানায় কারণ তিনি ছিলেন বিবাহিত। রামচন্দ্র শূর্পনখাকে এইটুকু বলেই ফিরিয়ে দিতে পারতেন কিন্তু তিনি সেটা না করে ভাই লক্ষ্মণকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন সেই একই প্রস্তাব দেওয়ার জন্য। রামচন্দ্র কি জানতেন না লক্ষ্মণ নিজেও বিবাহিত ছিলো সেই সময়। লক্ষ্মণও যথারীতি শূর্পণখার বিবাহের প্রস্তাব নাকচ করেন এবং তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা বিদ্রুপ করেন। এমন অনেক কটু অপমানজনক কথা বলেন যা একজন নারী কাছে চুড়ান্ত লজ্জার।" নাক কাটা" কথাটি এখানে রূপক মাত্র এটা আমার মনে হয়, অপমান অসন্মান বোঝাতেই এই কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে। শূর্পনখা অনার্য নারী ( যারা মহাকাব্যগুলোতে রাক্ষস জাতি হিসেবে পরিচিত) ছিলো বলেই কি তার সাথে এই কাজ করা সম্ভব হয়েছিলো? বড় দাদা রাবণের কাছে সেই অপমানের কথা জানিয়ে ন্যায় চেয়েছিলো শূর্পনখা। বোনের অপমানের প্রতিশোধ নিতে রাবণ সীতাহরণের মতো কাজটি করেন এবং এর ফল যে ভালো হবেনা সেটাও তিনি জানতেন। বর্তমান যুগে প্রতিটি বোনের যদি রাবণের মতো একজন দাদা থাকতো তাহলে আজকের সমাজের রূপটা হয়তো অন্য হতো।



নায়ক রামচন্দ্র ও তাঁর কৃতিত্বের বর্ণনা রামায়ণ জুড়ে। তিনি ছিলেন ধর্মপরায়ণ, জ্ঞানী, সৎ, চরিত্রবান,বুদ্ধিমান, ন্যায়নীতি জ্ঞান সম্পন্ন একজন। অপরদিকে রাবণের সম্পর্কে বলা হয়েছে যতটা সম্ভব খারাপ কথা। তিনি চরিত্রহীন, অসভ্য, রাক্ষস, বিকলাঙ্গ ( দশ মাথা)।
কিন্তু রাবণ সম্পর্কে যে চিত্রটি রামায়ণে অঙ্কিত আছে তার সত্যতা সম্পর্কে যথেষ্ট সন্দেহ থেকে যায় কারণ, রামায়ণের রচয়িতা বাল্মিকীর জীবন সম্পর্কে যা জানা যায় তাতে তিনি প্রথম জীবনে ছিলেন একজন দস্যু, নাম ছিলো রত্নাকর। দস্যু রত্নাকরের "বাল্মিকীমুনি" হয়ে ওঠার কাহিনি মোটামুটি সবার জানা। এই বাল্মিকী ব্রহ্মা ও নারদের আদেশে রামচন্দ্রের জীবন ও বীরত্বের সম্পুর্ণ কাহিনী  লেখার দায়িত্ব পায়। প্রথম জীবনে দস্যুবৃত্তি দ্বারা অর্জিত পাপকে পুণ্যতে বদলানোর এমন একটি সুযোগই হয়তো তাকে আর্যপ্রেমী করে তুলেছিলো। কারণ তাঁর লেখা ছাড়া রামায়ণের অন্যান্য ভাষ্য গুলোতে রাবণকে একদম অন্য রূপে বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে তিনি জ্ঞানী, দক্ষ রাজা,যোগ্য শাষক পিতা ভ্রাতা এবং স্বামী। মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর অমর মহাকাব্য   "মেঘনাদ বধ" গ্রন্থে রাবণকে  Protagonist হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ঋষি বাল্মিকীর লেখা রামায়ণে তাঁর আর্যদের প্রতি প্রগার ভালোবাসার দিকটা বেশ চোখে লাগার মতো আর সেই কারনেই অনার্য রাবণকে হীন প্রতিপন্ন করেছেন বলে মনে হয়। তবুও বাল্মিকীর লেখার আনাচে কানাচে রাবণের শৌর্য, জ্ঞান, দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তার আভাস পাওয়া যায় যা আর্যপ্রেমী বাল্মিকী তাঁর লেখাতেও লুকাতে পারেননি, যে দিকটা অন্বেষণ করলে রাবণ সম্পর্কে যা জানা যায় তাতে তিনি রামচন্দ্রকেও ছাপিয়ে যান।




রামায়ণে রাবণকে রাক্ষস বলা হয়েছে, তিনি রাক্ষস রাজ। এখানে বলা প্রয়োজন পুরাণে যাদের রাক্ষস নামে অভিহিত করা হয়েছে তারা আসলে অনার্য জাতি এবং এরাই ছিলো ভারতবর্ষের আদি বাসিন্দা, যারা ছিলো "অ-সভ্য" অরণ্যচারী। এদেরকেই বহিরাগত "সুসভ্য" আর্যরা রাক্ষস দানব ইত্যাদি নামে নামাঙ্কিত করে। কিন্তু বিভিন্ন পুরাণ গবেষকদের গবেষণা অনুযায়ী রাবণ সেইসব "রাক্ষস" দলে পড়েন না, জন্মসূত্রে রাবণ ছিলেন ব্রাহ্মণ।অনেকেই ভাবতে পারে রাক্ষস রাজ রাবণ কি করে ব্রাহ্মণ হয়? তাদের উদ্দেশ্য বলি, ব্রাহ্মণ কথার সোজা মানে হলো ব্রহ্মাংশে জন্ম যার, যে বেদ জানে বা পড়ে, ব্রহ্মের উপাসনা করে যে সেই ব্রাহ্মণ। পৌরাণিক ঋষিগণের এই সব ধরনের বৈশিষ্ট্য ছিলো।সেইদিক থেকে বিচার করলে রাবণের জন্মের যে বৃত্তান্ত পাওয়া যায় সেই অনুসারে তিনি ছিলেন একজন আর্য ঋষি পিতার সন্তান।

 ঋষিদের মধ্যে পুলস্ত্য ছিলেন ব্রহ্মার মানসপুত্র এবং উচ্চমার্গের একজন ঋষি। পুলস্ত্যের পুত্র বিশ্রবাও ছিলেন গণ্যমান্য ঋষি। এই বিশ্রবাই ছিলেন রাবণের Biological পিতা। বিশ্রবা অনার্য নারী কৈকেশীকে বিবাহ করেছিলেন, যার গর্ভে রাবণের জন্ম। মাতা যেহেতু অনার্য ছিলো হয়তো তাই রাবণ আর্যদের কাছে "রাক্ষস"। কিন্তু রাবণ অনার্যদের মতো দেখতেও ছিলেন না স্বভাবেও ছিলেন না।
আর্য ঋষি পিতার পুত্র রাবণ ছিলেন একজন শাস্ত্রজ্ঞানী। হিন্দু পুরাণ দাবী করে, সাধারণত কোনো একজন মানুষের পক্ষে একটার বেশী শাস্ত্র মনে রাখা সম্ভব না, সেখানে রাবণ একসঙ্গে দশটি আলাদা শাস্ত্র মনে রেখে তার বিশ্লেষণ ব্যাখ্যা করতে সক্ষম ছিলেন। দশটি শাস্ত্র বলতে চারটি বেদ ও ছয়টি কলা শাস্ত্রকে বলা হয়েছে। আর এই কারনেই তাকে দশ মাথার অধিকারী বা দশানন বলা হতো। সত্যি সত্যি তাঁর ঘাড়ে দশটা মাথা ছিলো না। কোনো মানুষেরই থাকে না থাকতে পারে না। সিরিয়াল বা দশেরাতে যে দশমাথাযুক্ত রাবণকে দেখে আমরা অভ্যস্ত বাস্তবে রাবণ আদোও ওইরকম ছিলো না। দশানন অর্থে রাবণের জ্ঞানের বিশাল দিকের নির্দেশ করে।
দশমাথাযুক্ত বিশালাকৃতির ভয়ংকর চেহারার যে রাবণকে রামায়ণের রচয়িতা বাল্মিকীর রচনাতে পাই সেটা একান্তই আর্যপ্রেমী বাল্মিকীর অনার্যদের প্রতি অবহেলার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই না। সেই যুগে স্বয়ং মহাদেবের পরে বেদকে যথাযথ ভাবে বিশ্লেষণ করতে পারতেন এই "রাক্ষসরাজ" রাবণ।কথিত আছে দেবাদিদেবকে নিজ রাজ্য লঙ্কায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি নিজে গান রচনা করেছিলেন এবং সেই গান নিজে গেয়ে মহাদেবকে তুষ্ট করেছিলেন। রাবণের রচিত সেই গানই "মহাকাল মন্ত্র", যা ছাড়া শিব উপাসনা সম্পুর্ণ হয়না আজও।

রাবণ ছিলেন লঙ্কার রাজা। তবে রামায়ণের এই লঙ্কা আজকের শ্রীলঙ্কা কি না সেই নিয়ে মতভেদ আছে। সেই প্রসঙ্গে লিখতে গেলে আমার আজকের বিষয় পথভ্রষ্ট হবে, তাই ওই প্রসঙ্গ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার দিকে আজ আর গেলাম না।

তবে লঙ্কার রাজা প্রথম থেকেই রাবণ ছিলেন না। বিষ্ণুর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে লঙ্কা তৈরী করেছিলেন রাবণের বৈমাত্রেয় ভাই কুবের। কুবেরের পিতা ছিলেন ঋষি বিশ্রবা ও মাতার নাম দেববর্ণীনী। প্রচুর ধন সম্পদের মালিক ছিলেন কুবের এবং তাঁর একটি পুস্পকরথ ছিলো যা ওই সময় মর্ত্যলোকে কারোরই ছিলো না। শোনা যায় রাবণ কুবেরকে পরাস্ত করে লঙ্কা ও পুস্পকরথটি জয় করেছিলেন। বৈমাত্রেয় ভাই কুবেরের সাথে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হলেও রাজা হিসেবে তিনি সুশাসক ছিলেন। তাঁর রাজত্বে প্রজারা সুখে নির্বিঘ্নে নিরাপদে ছিলো। তাঁর রাজ্যে নারীদের সন্মান ছিলো, নারীরা ছিলো স্বাধীন সুরক্ষিত। তাঁর সামরিক বাহিনীর সেনারা ছিলো রণকৌশলে পারদর্শী। এই সামরিক বাহিনীতে নারীদের সুরক্ষার জন্য আলাদা সেনার ব্যবস্থা হিসেবে মহিলাদের জন্য মহিলা সেনা নিয়োগ করেছিলেন তিনি।সীতাকে অশোকবনে বন্দী রাখার সময় কোনো পুরুষ সেনাকে পাহারাদার রাখেননি তিনি, নারী বাহিনী ছিলো সেখানকার  পাহারাদার।
রাজা রাবণের রাজত্বের সময় তাঁর রাজ্য লঙ্কাকে "স্বর্ণ লঙ্কা" বলা হতো।এর মানে লঙ্কা রাজ্য সোনা দিয়ে তৈরী ছিলো এমন নয়, এই উপাধি লঙ্কা রাজ রাবণের সুশাসকের পরিচয়। তাঁর আমলে লঙ্কারাজ্য ছিলো সমৃদ্ধির শিখরে। যে রাজার রাজ্যে প্রজারা নিরাপদ সুখি জীবন যাপন করতে পারে সেই রাজ্যই স্বর্ণরাজ্য। লঙ্কা ঠিক তেমন স্বর্ণরাজ্য ছিলো।
রাবণের রুচিবোধ, শৈল্পিক জ্ঞান,সৌন্দর্য্যের প্রতি অনুরাগ ইত্যাদি বহুগুণের পরিচয় পাওয়া যায়। লঙ্কা রাজ্যে নানান জাতের নানা প্রকার বৃক্ষ, লতা, ফুল ফলের গাছের সমাবেশ ছিলো বলে জানা যায়। সীতাকে হরন করে যে অশোকবনে রেখেছিলেন সেই বাগানটির প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম ছিলো। রামায়ণে লেখা আছে সীতার খোঁজে হনুমান লঙ্কায় গিয়ে রাবণের সুসজ্জিত স্বর্ণলঙ্কার শোভা দেখে অভিভূত হয়েছিলেন।
সেই যুগে একমাত্র রাবণের কাছেই  পুস্পকরথ ছিলো, ( আগে যদিও সেটা কুবেরের ছিলো) যাকে আজকের বিমানের সাথে তুলনা করা যায়। তিনি "শক্তিশেল" নামে এক যুদ্ধাস্ত্র তৈরী করেছিলেন,  যার শক্তি ডিনামাইটের সাথে তুলনা করা যায়।
এই হলো রাবণের সুশাসক, দক্ষ রাজা, যোদ্ধা,রুচি বোধের দিক।
এছাড়াও তিনি নিজের পরিবারের দিক দিয়েও ছিলেন একজন আদর্শ পুরুষ। মন্দোদরী ছাড়া তাঁর আর কোনো স্ত্রীর উল্লেখ পাওয়া যায় না। রাবণের সাতটি পুত্র ছিলো, এরা হলেন --- ইন্দ্রজিৎ, অক্ষয়কুমার, অতিকায়, ত্রিশির, প্রহস্থ, দেবাকান্ত ও নরাকান্ত। পিতা হিসাবে রাবণ তার কর্তব্য পালনে অবহেলা করেননি। প্রত্যেক সন্তানকে তিনি শাস্ত্রজ্ঞান দ্বারা সুশিক্ষিত করেছিলেন, শিখিয়েছিলেন রণকৌশলের নানান বিদ্যা। তাঁর সন্তানদের মধ্যে ইন্দ্রজিৎ ছিলেন মহাজ্ঞানী ও দক্ষ যোদ্ধা।
জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার কর্তব্য পালনেও রাবণের দায়িত্ববোধ ছিলো প্রশংসনীয়। ভাই কুম্ভকর্ণ ছয়মাস ঘুমাতো ও ছয়মাস জেগে থাকতো। আসলে কুম্ভকর্ণ ছিলো অলস, অকর্মা, ভোগ বিলাসে মত্ত এক পুরুষ। এমন এক অপদার্থ ভাইকে সারাজীবন নিজের খেয়াল খুশি মতো থাকতে দিয়েছেন, আর রাজ্যের, পরিবারের সব ভার দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। ছোটো ভাই বিভীষণ ছিলো বিশ্বাসঘাতক। যে দাদার ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠেছিলো সেই দাদাকে পেছন থেকে ছুরিকাহত করেছিলো বিপক্ষে ( রামের দলে) যোগদান করে। মৃত্যুর সময় সেই বেইমান ভাইকেও ক্ষমা করে গিয়েছিলেন " রাক্ষসরাজ" রাবণ। রামায়ণে আছে, মৃত্যু সজ্জায় রাবণের থেকে রামচন্দ্র ও লক্ষ্মণ রাজনৈতিক সামাজিক জ্ঞান সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন এবং তিনি  তাঁদের সেই ইচ্ছা  পূর্ণ করেছিলেন।

যে মানুষ ছিলেন, শাস্ত্রে পারদর্শী ,জ্ঞানী, শিবের উপাসক, ব্রহ্মার দ্বারা বরপ্রাপ্ত, রাজা হিসেবে যোগ্যতার পরিচয় রাখে, পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল, পিতার কর্তব্য পালনে সক্ষম, ভোগ বিলাসে মত্ত ও বিশ্বাসঘাতক ভাইদের আশ্রয়দাতা, শুধুমাত্র বোনের অপমানের প্রতিশোধ নিতে অন্যের স্ত্রী কে অপহরণের মতো একটি কাজ করেছিলেন যার পরিনতি ভালো হবে না জেনেও সেই মানুষটিকে রামায়ণে "রাক্ষস বা নরখাদক" বলা হয়েছে!!!! 
এই বীভৎস বিশেষণটি সত্যি কি রাবণের জন্য যথাযথ??? 
ঋষি পুলস্ত্য সম্পর্কে যার পিতামহ, বিশ্রবা পিতা, যার জীবন বিদ্যাচর্চা শাস্ত্রজ্ঞানে পরিপূর্ণ সেই রাবণকে রামায়ণে যোগ্য সন্মান প্রদর্শনে কার্পণ্য কেনো করেছিলেন লেখক বাল্মিকী??? 
শুধুমাত্র একজনকে( রাম) ভালোর তকমা দিতে গিয়ে অন্যজনের (রাবণ) শুধু খারাপ দিকটাই বেশী করে প্রকাশ করার মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে রামায়ণ। শাস্ত্রজ্ঞানী, সুসভ্য হাওয়া সত্বেও সীতাহরনের মতো কাজটির জন্যই রাবণকে খলনায়ক হয়েই থেকে যেতে হলো।






CREDITOR: INTERNET
COPYRIGHT : RAKASREE BANERJEE

মন্তব্যসমূহ

you may like

রামায়ণে বর্নিত পার্শ্বচরিত্রের প্রানীসমূহ আসলে কি ছিলো??? Relevancy of the non-human characters in RAMAYANA ....

Nepotism Is as old as Mahabharata !! মহাভারতও "Nepotism" দোষে দুষ্ট ( Mahabharata Stories )

পিতৃপক্ষ ও কিছু কথা