অভিশপ্ত অহল্যা উপাখ্যান- The Truth Behind Ahalya's Curse ( Ramayana Stories)
পৌরাণিক বর্ননা অনুযায়ী সনাতন ধর্মের শ্রেষ্ঠ ও পবিত্র পাঁচজন নারী বা সতীর অন্যতম হলেন " অহল্যা"।
অহল্যা কে সেটা কম বেশী আমরা সকলেই জানি। তাঁর জন্ম, বিবাহ, সংসার সবই ভীষণ আকর্ষণীয়। সেসব নিয়েও লেখার ইচ্ছে রইলো কিন্তু আজ নয়।
আজ অহল্যার স্বামীর থেকে পাওয়া পাথর হয়ে যাওয়ার অভিশাপ নিয়ে কিছু কথা বলবো।
অভিধানে অহল্যা শব্দটির অর্থ হলো - লাঙ্গল চালনার অযোগ্য এমন ভূমি। যার সংস্কৃত অর্থ ' ন - হলা ' বা হলকর্ষণযোগ্য নয়।
আবার বাল্মিকী রামায়ণে ব্রহ্মা অহল্যা নামের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেছেন - হল্য শব্দের অর্থ বিকৃতি, অর্থাৎ যে নারীর রূপ বা গুনে কোনো বিকৃতি নেই তিনিই অহল্যা।
সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার মানসকন্যা ও ঋষি গৌতম এর পত্নী অহল্যা। অসাধারণ সুন্দরী ছিলেন তিনি। তার রূপে দেবরাজ ইন্দ্র পর্যন্ত পাগল হয়েছেন। এহেন রূপই অহল্যার জীবনে অভিশাপ ডেকে এনেছিল। ছলের সাহায্যে দেবরাজ ইন্দ্র ঋষি গৌতম এর বিবাহিতা স্ত্রী অহল্যাকে সম্ভোগ করেন ( যদিও এতে অহল্যার বিশেষ কোনো আপত্তি ছিলোনা বলেই কথিত আছে) এবং এর শান্তি স্বরূপ ঋষি গৌতম তাঁর স্ত্রীকে পাথর হয়ে যাওয়ার অভিশাপ দেন।
এই পর্যন্ত আমাদের সবার জানা। এবার main question হলো - সত্যি কি কোনো মানুষ পাথর হয়ে যেতে পারে? অহল্যা যদি সত্যিই পাথর হয়ে গিয়ে ছিলো তাহলে কি করে রামকে আতিথিয়েতায় মুগ্ধ করে পুনরায় মানবীতে পরিনত হলো ( বাল্মিকীর রচনা রামায়ণে আমরা পাই) ।
তাহলে কি অহল্যা পাথর বলতে আমরা যা বুঝি তা হয়নি? ' পাথর হয়ে যাও ' কথাটি কি রূপক মাত্র? কি ঘটেছিলো তাঁর সাথে? এর মধ্যে কি লুকিয়ে আছে অন্য কোনো ইঙ্গিত? প্রশ্নগুলো কি সত্যি ভাবায় না?
কারন পৌরাণিক যুগে যা যা আশ্চর্য, অতি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে সে রামায়ণ হোক বা মহাভারত ( যেমনঃ কৌরবদের জন্ম, দ্রৌপদীর যুবতী হয়ে জন্মানো ইত্যাদি) সবই যে সেই সময়েও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হয়েছে সেই বিষয়ে পুরাণ গবেষকরা ব্যাখ্যা করেছেন নানাভাবে।
তাহলে অহল্যার ক্ষেত্রেও কি সেই সময় এমন কিছুই ঘটেছিল?
আবার বাল্মিকী রামায়ণে ব্রহ্মা অহল্যা নামের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেছেন - হল্য শব্দের অর্থ বিকৃতি, অর্থাৎ যে নারীর রূপ বা গুনে কোনো বিকৃতি নেই তিনিই অহল্যা।
সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার মানসকন্যা ও ঋষি গৌতম এর পত্নী অহল্যা। অসাধারণ সুন্দরী ছিলেন তিনি। তার রূপে দেবরাজ ইন্দ্র পর্যন্ত পাগল হয়েছেন। এহেন রূপই অহল্যার জীবনে অভিশাপ ডেকে এনেছিল। ছলের সাহায্যে দেবরাজ ইন্দ্র ঋষি গৌতম এর বিবাহিতা স্ত্রী অহল্যাকে সম্ভোগ করেন ( যদিও এতে অহল্যার বিশেষ কোনো আপত্তি ছিলোনা বলেই কথিত আছে) এবং এর শান্তি স্বরূপ ঋষি গৌতম তাঁর স্ত্রীকে পাথর হয়ে যাওয়ার অভিশাপ দেন।
এই পর্যন্ত আমাদের সবার জানা। এবার main question হলো - সত্যি কি কোনো মানুষ পাথর হয়ে যেতে পারে? অহল্যা যদি সত্যিই পাথর হয়ে গিয়ে ছিলো তাহলে কি করে রামকে আতিথিয়েতায় মুগ্ধ করে পুনরায় মানবীতে পরিনত হলো ( বাল্মিকীর রচনা রামায়ণে আমরা পাই) ।
তাহলে কি অহল্যা পাথর বলতে আমরা যা বুঝি তা হয়নি? ' পাথর হয়ে যাও ' কথাটি কি রূপক মাত্র? কি ঘটেছিলো তাঁর সাথে? এর মধ্যে কি লুকিয়ে আছে অন্য কোনো ইঙ্গিত? প্রশ্নগুলো কি সত্যি ভাবায় না?
কারন পৌরাণিক যুগে যা যা আশ্চর্য, অতি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে সে রামায়ণ হোক বা মহাভারত ( যেমনঃ কৌরবদের জন্ম, দ্রৌপদীর যুবতী হয়ে জন্মানো ইত্যাদি) সবই যে সেই সময়েও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হয়েছে সেই বিষয়ে পুরাণ গবেষকরা ব্যাখ্যা করেছেন নানাভাবে।
তাহলে অহল্যার ক্ষেত্রেও কি সেই সময় এমন কিছুই ঘটেছিল?
সন্ত তুলসীদাস এর ' শ্রীরামচরিত - মানস এ আছে -
' গৌতমনারি শ্রাপবস উপলদেহ ধরি ধীর '--- এর অর্থ ঋষি গৌতম এর পত্নী অহল্যা শাপবসত প্রস্তর দেহ ধারণ করে ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করে আছেন।
অন্যদিকে বাল্মিকী তাঁর রচিত রামায়ণে অহল্যার প্রস্তর দেহের কথা বলেননি, তিনি এই শাপের কথা এইভাবে বলেছেন ---
' ভার্যামপি শপ্তবান্।
ইহ বর্ষ সহস্রানি বহূনি নিবসিষ্যসি।
বাতভক্ষা নিরাহারা তপ্যন্তী ভস্মশায়িনী।
অদৃশ্য সর্বভুতানামাশ্রমেহস্মিন্ বসিষ্যসি।।' ( বাল্মিকী রামায়ণ / বালকান্ড ৪৮ তম সর্গে, ৩৯ নং শ্লোক)।
এর বাংলা করলে হয় - গৌতম মুনি তার নিজের স্ত্রীকে এই বলে শাপ দিলেন যে তুমি এই আশ্রমে ভস্মাশায়ী হয়ে সবার অলক্ষ্যে বহু হাজার বছর তপস্যা করো, আর তপস্যা করার সময় কেবলমাত্র বায়ুই তোমার আহার হবে।
তার মানে ঋষি গৌতম তাঁর স্ত্রীকে প্রানহীন পাথরে পরিনত হওয়ার অভিশাপ দেননি সেটা স্পষ্ট। তিনি অহল্যাকে তাঁর ভয়ানক অপরাধের শাস্তি হিসাবে সংসার থেকে এবং অবশ্যই ঋষি গৌতম এর জীবন থেকে দুরে গিয়ে আত্মশুদ্ধির কথা বলেছেন। আর তখনকার সময় আত্মশুদ্ধির উপায় একটাই - কোঠোর তপস্যা।
অহল্যার স্বামীর আদেশ মেনে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো option ছিলো না। স্বামীর বিশ্বাসভঙ্গ এর পর তাঁর সাথে একই ছাদের তলায় থাকাটা সন্মানের হতো না।অন্যদিকে অহল্যার কোনো সন্তান ছিলো না তাই সাংসারিক মায়া ত্যাগ করাটাও কঠিন ছিলোনা এই অবস্থায়।
অন্যদিকে বাল্মিকী তাঁর রচিত রামায়ণে অহল্যার প্রস্তর দেহের কথা বলেননি, তিনি এই শাপের কথা এইভাবে বলেছেন ---
' ভার্যামপি শপ্তবান্।
ইহ বর্ষ সহস্রানি বহূনি নিবসিষ্যসি।
বাতভক্ষা নিরাহারা তপ্যন্তী ভস্মশায়িনী।
অদৃশ্য সর্বভুতানামাশ্রমেহস্মিন্ বসিষ্যসি।।' ( বাল্মিকী রামায়ণ / বালকান্ড ৪৮ তম সর্গে, ৩৯ নং শ্লোক)।
এর বাংলা করলে হয় - গৌতম মুনি তার নিজের স্ত্রীকে এই বলে শাপ দিলেন যে তুমি এই আশ্রমে ভস্মাশায়ী হয়ে সবার অলক্ষ্যে বহু হাজার বছর তপস্যা করো, আর তপস্যা করার সময় কেবলমাত্র বায়ুই তোমার আহার হবে।
তার মানে ঋষি গৌতম তাঁর স্ত্রীকে প্রানহীন পাথরে পরিনত হওয়ার অভিশাপ দেননি সেটা স্পষ্ট। তিনি অহল্যাকে তাঁর ভয়ানক অপরাধের শাস্তি হিসাবে সংসার থেকে এবং অবশ্যই ঋষি গৌতম এর জীবন থেকে দুরে গিয়ে আত্মশুদ্ধির কথা বলেছেন। আর তখনকার সময় আত্মশুদ্ধির উপায় একটাই - কোঠোর তপস্যা।
অহল্যার স্বামীর আদেশ মেনে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো option ছিলো না। স্বামীর বিশ্বাসভঙ্গ এর পর তাঁর সাথে একই ছাদের তলায় থাকাটা সন্মানের হতো না।অন্যদিকে অহল্যার কোনো সন্তান ছিলো না তাই সাংসারিক মায়া ত্যাগ করাটাও কঠিন ছিলোনা এই অবস্থায়।
অহল্যার পাথর বা পাষাণ হওয়ার গল্প রূপক ছাড়া আর কিছুই না। আসলে তিনি তপস্যায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন এবং একাগ্রচিত্তে তপস্যায় মগ্ন থাকার ফলে তাঁর দেহ অস্থিচর্মসার হয়ে গিয়েছিল। সেই দেহে বাহ্য চেতনার প্রকাশ ছিলোনা। তাই ওই দেহকে জড় পাথরের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর দেহে প্রাণ ছিলো। এটা একপ্রকার সমাধি।
আধুনিক যুগেও এমন ঘটনা ঘটে থাকে। বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু তাঁর ' অব্যক্ত জীবন ' প্রবন্ধে লিখেছেন বাইরে প্রানের প্রকাশ না থাকলেও ভিতরে চেতনা থাকে। ওই প্রবন্ধে তিনি জনৈক এক সাধুর উল্লেখ করেছিলেন, যাকে লোহার বাক্সে বন্ধ করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। তিনদিন পরে যখন তাকে তোলা হলো, তখন তার দেহে প্রাণ ছিলো যাকে লেখক ' অব্যক্ত জীবন ' বা Latent Life বলেছেন। বাইরের আলো বাতাসে সাধু পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।
শুধুমাত্র বায়ু আহার করে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা যায় কি না এই সংশয় নিরসনের জন্য আমরা স্বামী বিবেকানন্দের স্বচক্ষে দেখা পাওহারী বাবার স্মরণ করতে চাই এখানে। পবন বা বায়ু আহার যার, তিনিই পাওহারী। এর প্রমান মহামহোপাধ্যায় গোপীনাথ কবিরাজ এর লেখা ' জ্ঞানগঞ্জ ' বইতে পাই। এই বইটিতে বহু সাধক হাজার হাজার বছর ধরে একই জায়গায় বসে সাধনা গেছেন, তুষারাকৃতি হয়ে গেছেন, কিন্তু চেতনা হারাননি।
পরম পূজনীয় গুরুজী পরমানন্দ স্বামী এরকম দুজনের সাক্ষাৎ পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে একজন বাবাজী মহারাজ দ্বিতীয়জন বৌদ্ধ শ্রমন। তাঁরও বছরের পর বছর একই জায়গায় বসে বিনা আহারে সাধনা করেছেন।
তাহলে অহল্যাও সত্যি পাথর হয়নি এটা মেনে নেওয়াই যায়। সেটা ছিলো অহল্যার জাগতিক জীবন থেকে সরে এসে তপস্যায় নিজেকে উৎসর্গ করা।
কিন্তু এইভাবে তাকে কতদিন থাকতে হবে কাতর ভাবে স্বামী গৌতম এর কাছে জানতে চেয়েছিলেন অহল্যা, এর উত্তরে গৌতম বলেছিলেন --- জন্মিবেন যবে রাম দশরথ ঘরে।
বিশ্বামিত্র লয়ে যাবে যজ্ঞ রাখিবারে।।
তোমার মাথায় পদ দিবে নারায়ণ।
তখনই হইবে মুক্ত...।।
( কৃত্তিবাসি রামায়ণ - পৃষ্ঠা ৬৫)
পরম পূজনীয় গুরুজী পরমানন্দ স্বামী এরকম দুজনের সাক্ষাৎ পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে একজন বাবাজী মহারাজ দ্বিতীয়জন বৌদ্ধ শ্রমন। তাঁরও বছরের পর বছর একই জায়গায় বসে বিনা আহারে সাধনা করেছেন।
তাহলে অহল্যাও সত্যি পাথর হয়নি এটা মেনে নেওয়াই যায়। সেটা ছিলো অহল্যার জাগতিক জীবন থেকে সরে এসে তপস্যায় নিজেকে উৎসর্গ করা।
কিন্তু এইভাবে তাকে কতদিন থাকতে হবে কাতর ভাবে স্বামী গৌতম এর কাছে জানতে চেয়েছিলেন অহল্যা, এর উত্তরে গৌতম বলেছিলেন --- জন্মিবেন যবে রাম দশরথ ঘরে।
বিশ্বামিত্র লয়ে যাবে যজ্ঞ রাখিবারে।।
তোমার মাথায় পদ দিবে নারায়ণ।
তখনই হইবে মুক্ত...।।
( কৃত্তিবাসি রামায়ণ - পৃষ্ঠা ৬৫)
কি দাড়ালো তাহলে?
রামচন্দ্র শুধু মাধ্যম ছিলেন কারন সব শাস্তিরই তো একটা শেষ আছে না কি? রামচন্দ্র অহল্যাকে শুধুমাত্র এইটুকুই বলেছিলেন যে অনেক হয়েছে এবার তুমি normal life এ ফিরে যাও।
ভগবান বিষ্ণুর মনুষ্য অবতার রামচন্দ্রের জন্ম এবং বড় হয়ে ওঠার যে দীর্ঘ সময় সেটাই অহল্যার প্রায়শ্চিত্ত ছিলো।
ঠিকই আছে, এতগুলো বছর কি যথেষ্ট নয় অহল্যার শাপমুক্তির জন্য?
রামচন্দ্র শুধু মাধ্যম ছিলেন কারন সব শাস্তিরই তো একটা শেষ আছে না কি? রামচন্দ্র অহল্যাকে শুধুমাত্র এইটুকুই বলেছিলেন যে অনেক হয়েছে এবার তুমি normal life এ ফিরে যাও।
ভগবান বিষ্ণুর মনুষ্য অবতার রামচন্দ্রের জন্ম এবং বড় হয়ে ওঠার যে দীর্ঘ সময় সেটাই অহল্যার প্রায়শ্চিত্ত ছিলো।
ঠিকই আছে, এতগুলো বছর কি যথেষ্ট নয় অহল্যার শাপমুক্তির জন্য?
Creditor - ১) জয় জয় রাধাগোবিন্দ।
২) কৃত্তিবাসী রামায়ণ।
৩) বাল্মিকী রামায়ণ।
৪) সন্ত তুলসীদাসী রামায়ণ।
২) কৃত্তিবাসী রামায়ণ।
৩) বাল্মিকী রামায়ণ।
৪) সন্ত তুলসীদাসী রামায়ণ।
According to the mythological description,
"Aholya" is one of the five best and holy women or sati of the
traditional religion.
We all know who Ahalya,
Her birth, marriage, family are all very interesting. Wanted to write about them but not today.
Today I will talk
about the curse of becoming a stone received from Ahlya's husband.
The word 'Ahalya’ in
the dictionary means the land that is not worth the hay. Whose Sanskrit meaning is 'no-hla' or not to
be used for Plowing.
Again in the
interpretation of the name Brahma Ahalya in the Balmiki Ramayana he says - the
word halya means perversion, that is, the woman who has no distortion in form
or quality is Ahalya.
Ahalya, the psychic
daughter of the creator Brahma and the wife of sage Gautam. She was extraordinarily beautiful. Devaraja Indra was gone mad for her. It was the beauty that brought a curse to Ahalya's
life. With the help of deceit, Devaraja
Indra had intercourse with Aholya, the married wife of Sage Gautam (although it
is said that Aholya had no particular objection) and as a punishment, Sage
Gautam cursed his wife to become a stone.
So far we all
know. Now the main question is - can
anyone really become a stone? If Aholya
had really turned to stone, then how did Lord Rama transform her to woman again
by charming her hospitality (we find it in Balmiki's composition Ramayana).
So what did we mean
by ahalya stone? Is it just a metaphor
for the phrase 'go stone' What happened
to her? Is there any other indication
hidden in this? Questions arises right?
This is because the “Puranic”
scholars have explained in various ways that everything that happened in the
Puranic age, whether it was the Ramayana or the Mahabharata (such as the birth
of Kauravas, the birth of Draupadi as a young woman, etc.) happened in a scientific
way.
So what happened to Ahalya
at that time?
Saint Tulsidas's 'Sriramcharita - Manas Aaye' - 'Gautmanari
Shrapabas Upaldeh Dhari Dhir' --- means Ahalya, the wife of Sage Gautam, is
waiting patiently with a cursed stone body.
Balmiki, on the other
hand, did not mention the stone body of Ahlya in his Ramayana, but he spoke of
the curse in this way.
‘’Verjamopi soptoban,
iho borsho sahsrani bahuni nibasisshosi, baatbhokhha nirahara topyonti
bhosmosayini” (Balmiki Ramayana /
Balkand 46th Serge, Verse 39).
Translate to English is
- Gautam Muni cursed his own wife by saying that you should go to this
monastery for a thousand years for invisible to everyone, and that only air
will be your food when you do penance.
This means that it is
clear that Sage Gautam did not curse his wife to become a lifeless stone. He told Ahalya to purify himself from the
world and, of course, from the life of sage Gautam as punishment for his
heinous crime. And at that time there
was only one way of self-purification - room austerities.
Ahlya had no choice
but to obey her husband's orders. It
would not have been an honor to be under the same roof with her husband after
betrayal. On the other hand, Ahlya did not have any children, so it was not
difficult to give up worldly love in this situation.
The story of Ahalya
being a stone is nothing but a metaphor.
In fact, She devoted herself to austerities, and her body became
emaciated as a result of his concentration on austerities. There was no manifestation of external
consciousness in that body. So that body
has been compared to inanimate stone.
But She had life in his body. It
is a kind of tomb.
Such incidents also
happen in the modern age. Scientist
Acharya Jagadish Chandra Bose wrote in his essay 'Unspoken Life' that although
there is no expression of life on the outside, there is consciousness on the
inside. In that article, he mentioned a
monk who was locked in an iron box and let down to the ground. When he was picked up three days later, he
had life in his body, which the author called 'Latent Life'. Out of the light of light, the saints return
to normal life.
To allay this
suspicion of whether one can survive for a long time only by eating air, we
would like to recall Swami Vivekananda's “Paohari baba” here. Whoever eats wind or air, he is the
Paohari. Evidence of this can be found
in the book 'Jnanganj' written by Mahamopadhyay Gopinath Kabiraj. In this book, many sadhakas have been sitting
in the same place for thousands of years, practicing snow, but have not lost
consciousness.
Parajananda Swami,
the most venerable Guruji, has met these two.
One of them is Babaji Maharaj, the second Buddhist Shraman. He also spent years in the same place without
any food.
If it is not true,
then it is acceptable. That was to move
away from the worldly life of Ahlya and dedicate oneself to austerities.
But Ahalya asked her
husband Gautam how long she should stay like this. In reply, Gautam said --- Lord
Rama will be born in the Dasharatha house.
Bishwamitra will be
taken to perform Yajna.
Narayan will give you
a touch of his legs in your head.
Then it will be free.
(Krittivasi Ramayana
- Page 65)
What happened then?
Ramchandra was just a
medium because there is no end to all punishment? Ramchandra only told Ahalya that it has been
a long time since you have returned to normal life.
The long time that
Ramachandra, the human incarnation of Lord Vishnu, was born and grew up was the
atonement of Ahalya.
Okay, aren't so many
years enough to get rid of Ahlya's curse?
Creditor - 1) Joy Joy Radhagovind.
2) Krittibasi Ramayana.
3) Balmiki Ramayana.
4) Saint Tulsidasi
Ramayana.
Good going. Post more facts like that.
উত্তরমুছুনThanku ...I will try my best
মুছুনGood going .. keep writing
উত্তরমুছুনGood going . Keep writing
উত্তরমুছুন